শুরু হলো রহমত, বরকত, নামাজ ও মাগফেরাতের মাহে রমজান। স্বাগতম, খোশ আমদেদ, রোজার মাস রমজান। আর সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালার জন্য। আমরা কেবলমাত্র তাঁরই প্রশংসা করি ও একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, তাঁর কাছেই আশ্রয় চাই, তাঁর কাছেই ক্ষমা চাই এবং তাঁর কাছেই যাবতীয় প্রার্থনা করি। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ব্যতিত ইবাদতের যোগ্য কেউ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ প্রেরিত বান্দা ও রাসুল।
মাহে রমজান আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক প্রদত্ত এমনই এক বরকতময় ও নেয়ামতপূর্ণ মাস, যার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে অন্য কোনো মাসেরই তুলনা চলে না। রোজা হলো মাহে রমজানে অবশ্য পালনীয় ফরজ আমল, যার পুরস্কার স্বয়ং আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা নিজে দেবেন। মানবজীবনে রোজা একজন বান্দার আত্মীক ও শারীরিক কল্যাণের ও উন্নতির গুরুত্বপূর্ণ পন্থা। তদুপরি, আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা তাঁর অপার ক্ষমা, দয়া আর অপরিসীম করুণা দিয়ে রমজান মাসকে বান্দাদেরকে উপহার দিয়েছেন।
মজান মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত পবিত্র একটি মাস, যে মাস আমল ও ইবাদতের মাধ্যমে ভরপুর ও সজিব রাখা সকলেরই কর্তব্য। রমজানের রোজা পালনের বিধান ইসলামের অন্যতম ফরজ। মানব জীবনের রমজান মাস ও রোজার রয়েছে বিরাট ভূমিকা। ফলে রমজান মাসকে রোজা পালন ও ইবাদতের মাধ্যমে মানব জীবনকে সুন্দর, কল্যাণময় ও ভারসাম্যপূর্ণ করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা অপরিহার্য, যার মাধ্যমে প্রতিটি মুসলিম নর-নারী শারীরিক ও আত্মীক উন্নতির পাশাপাশি ইহ ও পরকালীন সাফল্য পেতে পারেন।