WH- ঘরোয়া বিউটি টিপস
যদি বাড়িতে থাকা উপকরন ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা করেন তাহলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ঝলমলে
প্রত্যেক নারীই চায় তার ত্বকের রঙ উজ্জ্বল ফর্সা হোক। আজকাল দিনে নারীরা চায় নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে । শুধু নারীর কথা বললে ভুল হবে এ যুগে পুরুষরাও সৌন্দর্যের দিক দিয়ে কোনও অংশে কম নয়। কিন্তু এইসবের জন্য নারী পুরুষ ব্যয়বহুল পণ্য ব্যবহার করে থাকে অনেকে এইসব পন্য ব্যবহার করে উপকার পায় আবার অনেকেই নিজের ত্বকের ক্ষতিও করে থাকে। তবে আপনি যদি বাড়িতে থাকা উপকরন ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা করেন তাহলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ঝলমলে চেহারা পেতে পারেন।
লেবুর রস ও মধুঃ
পাতিলেবুর রস ত্বকের ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন সি সান ট্যান রিমুভ করার ম্যাজিক উপাদান হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। আর মধু আপনার ত্বকের রুক্ষতা দূর করবে এবং আপনার ত্বককে আর্দ্র করে তুলতে সাহায্য করবে। পাতিলেবুর রসের সঙ্গে মধু ভালো করে মেশান। এরপর আপনার সারা মুখে ভালো করে নরম ভাবে অ্যাপ্লাই করুন। আধ ঘণ্টার মতো রেখে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে রোজ একবার করে এটা করলে দেখবেন আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে।
আমন্ড তেলঃ
চোখের নীচের কালো দাগ দূর করতে আমন্ড তেল ব্যবহার করতে পারেন। ব্রন কমাতেও এটি খুব কাজ করে। ভিটামিন-ই, রেটিনল, ভিটামিন-কে এর ভারসাম্য বজায় রাখতে খুবেই সাহায্য করে আমন্ড তেল। এবং চামড়া মসৃন রাখতে আমন্ড তেল খুবেই উপকারী।
বেসনঃ
রূপচর্চায় বেসন দারুণভাবে কাজ করে। সানস্ক্রিন সূর্যের তাপে ব্যবহার করলে চামড়া পুড়ে যায়। এই পোড়া ভাব দূর করতে বেসন এর সাথে এক-চামচ দুধ, লেবুর রস ও সামান্য হলুদ এর গুঁড়ো মিশিয়ে দাগের উপর লাগালে আস্তে আস্তে পোড়া ভাব দূর হবে এবং আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। বেসনের মধ্যে স্কিন লাইটেনিন্ প্রপার্টিজ থাকে যার কারনে ত্বকের রঙ হালকা করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন মুখ ও হাত-পায়ে বেসন ব্যবহার করবেন এতে গায়ের রঙ উজ্বল হবে।
ঠাণ্ডা জলঃ
মেকআপ করার আগে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন,এতে মেকআপ অনেকক্ষণ স্থায়ী হয়। ঠাণ্ডা জল আপনার ত্বকের লোমকূপগুলিকে শক্ত করে যার কারনে আপনার মেকআপ ত্বকে অনেকক্ষণ স্থায়ী থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন দু’বার ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুবেন। এতে আপনার মুখের ত্বক ভালো থাকবে।
মধু ও পাকা পেঁপেঃ
পাকা পেঁপেতে আছে প্যাপাইন নামক উৎসেচক যা ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং ত্বকের মৃত কোষ গুলি সরিয়ে দেয়। আর মধু হচ্ছে আপনার রোদে পোড়া শুকনো ত্বককে স্বাভাবিক আর্দ্র, চকচকে অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ৪-৫ টুকরো পাকা পেঁপে ও ২ চামচ মধু এক সঙ্গে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন, এরপর ওই মিশ্রণটি ভালো করে মুখে ও আপনার শরীরের অন্যান্য ট্যান পড়া অংশে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়েছে, আর আগের মতো খুব মসৃণ হয়েছে।
দই ও টমেটোঃ
ত্বকের সানট্যান দূর করার জন্য টমেটোর উপাদান খুব ভালো কাজ করে। টমেটোতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং সেই সাথে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবেও টমেটো খুব ভালো কাজ করে। আর দইয়ে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা রোদে পোড়া ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে ত্বক উজ্জ্বল করে। টমেটো এবং দই ভালো করে পেস্ট করে প্যাক তৈরি করে নিন। মুখ বা হাতের যে সব জায়গায় ট্যান পড়েছে, সে সব জায়গায় লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন ও এরপর ঠাণ্ডা জ্বলে ধুয়ে ফেলুন।
আলুঃ
আলুর রসে আছে ব্লিচিং এফেক্ট যা ত্বকের জন্য দারুন কার্যকরী। আলু পেস্ট করে নিয়ে সারা মুখে, হাতে যে সব জায়গায় ট্যান পড়েছে, সানবার্ন হয়ে গেছে, সে সব স্থানে ভালো করে আলুর পেস্ট লাগান। এরপর ২০ মিনিট এর মতো রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শসাঃ
শসা আপনার ত্বকের সান বার্নড এর জন্য সবচেয়ে ভালো। শসা আপনার ত্বকের বার্নড আর ট্যানড ত্বকের কুলিং এজেন্ট হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। শসার পেস্ট নিয়ে আপনার মুখে ও হাত-পায়ের যেসব স্থানে ট্যান পড়েছে সেসব স্থানে ভালো করে লাগান। এভাবে আধ ঘণ্টা রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে খুব উপকার পাবেন।