চুল পড়া বন্ধ করার দোয়া

চুল পড়া বন্ধ করার দোয়া

চুল পড়া বন্ধ করার দোয়া

মরা অনেকেই আছি জানতে চাই যে, চুল পড়া বন্ধ করার দোয়া আছে কিনা!আজকের কন্টেন্টি ঠিক তাদের জন্য যারা চুল পড়া বন্ধ করার দোয়া জানতে চাচ্ছেন এবং চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে উপায় কি তা জানতে চাচ্ছেন।তাহলে আসুন আগে আমরা জানি যে, চুল পড়ার দোয়া কি এবং কিভাবে পড়তে হয়ঃ
|!-মুসাল্লামা তুল্লা শিয়াতা ফি-হা-!|

|!-সূরা বাকারা ৭১-
হাতের মাঝে তেল নিয়ে এই দোয়াটা পড়ে তিনবার ফু দিবেন,

তারপর তেল গুলো মাথায় মালিশ করবেন.!

যাক এবার দোয়া তো জানা হলো, এবার তাহলে আসুন জানা যাক চুল পড়া থামানোর ক্ষেত্রে এবং চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের কি কি করনিয়ঃ

ছেলে হোক অথবা মেয়ে হোক চুল এমন একটা জিনিস যা আমাদের সুন্দর্যতা বৃদ্ধি করে।একটা সময় ছিল যখন চুল পড়ার সমস্যা খুব কম ছিল।কিন্তু বর্তমানে টিন এইজ থেকে শুরু করে যে কারো চুল পড়তে দেখা যায়।তবে চুল পাতলার ব্যপারটা ভিন্ন, অনেকেি আছে তাদের চুল এতোটাি ঘন থাকে যে, তারা তাদের চুল পাতলা করতে চায়।তবে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যাওটা খুবি বেদনাদায়ক। কারন তাদের চুল এতটাি পাতলা হয়ে যায় যে একটা সময় তাদের মাথায় আর চুল থাকে নাহ।

তাহলে এর সমাধান! তাহলে আসুন শুরু করিঃ
তবে শুরু করার আগে জেনে নেই যে, কেন এমনটা হয়ঃএমনটা হতে পারে পুস্টিহীনতার অভাবে, জেনেটিক কারনে, হরমোনের ভারসম্যতা হারালে এছাড়া চুলের যত্ন না নিলে।

সমাধানঃ
প্রাক্রিতিক উপায়ে চুলের যত্ন করলে চুল পড়া বন্ধ করার পাশাপাশি নতুন করে চুল গজাবে এবং আপনার চুলকে ঘন করে তুলবে।আমি এখন এমন কিছু জিনিসের নাম বলতে চলেছি যা আপনার হাতের নাগালেই আছে। যে কোন সময় চাইলে তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।

কি হতে পারে তা ভাবছেন !যাক আর ভাবতে হবে নাহ আমি বলেই দিচ্ছিঃ

  • ডিমঃ ডিমে আছে সালফার এবং  প্রোটিন যা চুলকে গোরাকে মজবুত করে এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করার পাশাপাশি চুলকে করে তোলে ঝলমলে ও মসৃন।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ

প্রথমে একটি বাটিতে একটি ডিম ভেঙে নিতে হবে, এবার এর সাথে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল যোগ করুন। এবার ভালভাবে মিক্স করে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। এবার শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ৩০-৪০ মিনিটের জন্য চুল ঢেকে রাখুন । তারপর চুলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে  ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করুন।    

  • মেহেদি পাতাঃ  পাতলা চুল ঘন করা যায় মেহেদি পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে। কিভাবে সেটা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে দু’মুঠো তাজা মেহেদি পাতা অল্প পানি দিয়ে বেলেন্ড করে বা বেটে নিন। চাইলে এর সাথে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এবার এটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ভাল ভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। মাসে ১ বার ব্যবহার করাতে আপনার চুলের গোরায় পুস্টি পাবে যা চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
  • অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীঃ সঠিক ভাবে ঘৃতকুমারীর ব্যবহার করার মাধ্যমে পাতলা চুল ঘন করা যায়। প্রথমে একটি অ্যালোভেরা পাতা থেকে চামচ চামচ দিয়ে এর জেলটি বের করে নিন।  এরপর জেলটাকে ভালবাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার মাথার স্ক্যাপ্লে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। এভাবে প্রায় ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এখন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এভাবে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা স্ক্যাপ্লে মৃত কোষ মেরামত করে চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • আমলকীঃ প্রথমে একটেবিল চামচ আমলকী গুঁড়ার নিন এবার এর সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিক্স করে নিন। এবার এটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এবার শ্যাম্পু করে নিন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।এভাবে সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করতে পারেন। আমলকীতে আছে প্রচুর ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস  যা চুলের স্বাস্থ্য সুন্দর রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়ায় কোলাজেন-এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। লেবুর রস চুলের খুস্কি দূর করে এবং আমলকীর গুঁড়ার সাথে যুক্ত হয়ে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
  • মেথিঃ মেথি ব্যবহারেও পাতলা চুল ঘন করা যায় । কিভাবে সেটা ভাবছেন? দু’টেবিল চামচ মেথি পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভিজিয়ে রাখা মেথির দানা ছেঁকে নিন। এবার এর সাথে হাফ কাপ পরিষ্কার পানি যোগ করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার ৩০ মিনিট এর জন্য এই পেস্ট-টি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখু। এরপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন। মেথিকে শ্রেষ্ঠ উপকরণ বলা হয়ে থাকে, চুলের স্বাস্থ্য বজায় রেখে চুলের বৃদ্ধির জন্য । এটি খুস্কি তাড়ায় এবং চুল মজবুত করে।

 

এছাড়া আপনি চাইলে এমন কোনো প্রাকৃতিক প্রডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন যেটা ব্যবহারে আপনার চুলের সৌন্দার্য ও বৃদ্ধি পাবে চুলকেও অনেক স্ট্রং বা শক্তিশালী করে তোলবে।

এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের  সিক্রেট হেয়ার প্যাক  ব্যবহার করে দেখতে পারেন। 

এতে রয়েছে নানা প্রকার প্রাকৃতিক উপাদান + ভেষজের মিশ্রন।

এর সাথে আপনি আমাদের সিক্রেট হেয়ার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

এতে রয়েছে, রেড সেন্ডেলউড, জাতামাংসি, কারি লেভেস, ফেনুগরিক, হিবিসকাস, শিকাকাই, জিভান্টাই, ব্লাকসিড অয়েল, সিসেইম অয়েল, কেস্টার অয়েল, আমান্ড অয়েল এবং আরো ৪২টি জিনিস।

SEO by Ariful Islam

1 Comment

  1. প্রশ্ন: চুল পড়া রোধ, চেহারার রং ফর্সা ও সুন্দর হওয়ার দুআ ‘মুসাল্লামাতুল লা-শিয়াতা ফি-হা’ এটা কি সহিহ?
    ▬▬▬▬◈◍◈▬▬▬▬
    উত্তর:
    ইদানিং চুল পড়া রোধে ‘বিশেষ পরীক্ষিত কুরআনি আমল’ হিসেবে ফেসবুকে একটি আমল চোখে পড়ছে। তা হল,

    “হাতের তালুতে তেল নিয়ে ‘মুসাল্লামা তুল্লা শিয়াতা ফী-হা’ এই দুআটা পড়ে তিনবার ফুঁ দিবেন। তারপর তেল গুলো মাথায় মালিশ করবেন।” শুধু তাই নয়, এটিকে আঁচিল, ব্রণ, দাগ বা স্পট দূর করা, চেহারা সুন্দর করা ইত্যাদির জন্য ‘কুরআনি চিকিৎসা’ হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে!

    মূলত: এটি আল্লাহর কালামকে অ জায়গায় ব্যবহারের শামিল। কুরআন-হাদিসে কোথাও কুরআনের এই আয়াতাংশটিকে চুল পড়া রোধ বা ফর্সা হওয়ার দুআ তো দূরের কথা সাধারণ রুকিয়ার দুআ হিসেবেও উল্লেখ করা হয় নি।

    বাস্তবতা হল, নির্দিষ্টভাবে চুল পড়া রোধ, চেহারার রং ফর্সা হওয়া, সুন্দর ও সুস্বাস্থ্যবান হওয়া, মোটা-তাজা হওয়া, ব্রণ, মেসতা বা শরীরের দাগ দূর করা ইত্যাদির জন্য বিশেষ কোনও দুআ ও আমল কুরআন- হাদিসে বর্ণিত হয় নি।

    প্রকৃতপক্ষে উপরোক্ত বাক্যাংশটি কুরআনের আয়াতের একটি অংশ যা কোনও দুআ নয়। বরং এখানে বনি ইসরাইলের গাভীর বিবরণ বলা হয়েছে- যার সাথে চুল পড়া, গায়ের রং ফর্সা বা শরীরের দাগ দূর হওয়া কোনও সম্পর্ক নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন,

    قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٞ لَّا ذَلُولٞ تُثِيرُ ٱلۡأَرۡضَ وَلَا تَسۡقِي ٱلۡحَرۡثَ مُسَلَّمَةٞ لَّا شِيَةَ فِيهَاۚ قَالُواْ ٱلۡـَٰٔنَ جِئۡتَ بِٱلۡحَقِّۚ فَذَبَحُوهَا وَمَا كَادُواْ يَفۡعَلُونَ

    “(তিনি-মুসা আ.) বললেন, ‘তিনি বলেছেন, সেটা এমন এক গাভী যা জমি চাষে ও ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়নি, সুস্থ ও নিখুঁত’। তারা বলল, ‘এখন তুমি সত্য নিয়ে এসেছ’। অবশেষে তারা সেটাকে জবেহ করলো, যদিও তারা তা করতে প্রস্তুত ছিল না।” [সূরা বাকারা: ৭১]

    – মুহাক্কিক আলিমদের বক্তব্য হল, কুরআনের নির্দিষ্ট কোনও আয়াতকে ইচ্ছেমত বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যায় নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পাঠ করা বৈধ নয় হাদিসের দলিল ব্যতিরেকে। সুন্নত মনে করে এমনটি করা হলে তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে। তবে কুরআন পাঠ করে তার ওসিলায় আল্লাহর কাছে নিজের সমস্যার কথা তুলে ধরে দুআ করা হাদিস সম্মত।
    .قال رسول الله صلى الله عليه و سلم:(من قرأ القرآن فليسأل الله به (رواه الترمذي، وصححه الألباني)
    قال المباركفوري في تحفة الأحوذي: فليسأل الله به ـ أي فليطلب من الله تعالى بالقرآن ما شاء من أمور الدنيا والآخرة ـ أو المراد أنه إذا مر بآية رحمة فليسألها من الله تعالى، وإما أن يدعو الله عقيب القراءة بالأدعية المأثورة.اهـ

    সুতরাং মাথার চুল পড়া রোধ বা চেহারার রং ফর্সা করা বা আঁচিল, ব্রণ, দাগ দূর করার উদ্দেশ্যে কুরআনের উপরোক্ত আয়াতের অংশটি পড়ে রুকিয়া করা শরিয়ত সম্মত নয়।
    তবে হাদিসে জমজম পানিকে রোগ নিরাময়ে কার্যকরী বলা হয়েছে। সুতরাং তা পান করার পাশাপাশি তা দ্বারা গোসল করা ও মাথায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

    অনুরূপভাবে হাদিস সম্মত রুকিয়া সংক্রান্ত আয়াত ও দুআ পড়ে রুকিয়াও করা শরিয়ত সম্মত। তৎসঙ্গে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে মূল সমস্যা চিহ্নিত পূর্বক তার তার পরামর্শ মোতাবেক বিশেষ কোনও ক্রিম, তৈল বা ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

    অথবা এ সব বিষয়ে ঘরোয়া নানা পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। মানুষের অভিজ্ঞতা ও ইতিবাচক ফলাফল জেনে সঠিক পদ্ধতিতে সেগুলোও কাজে লাগাতে পারেন। যেমন:

    মাথার চুল পড়া রোধে নিম্নোক্ত পদ্ধতিটি ভালো কার্যকর বলে জানা যায়:

    ভিটামিন ই(Vitamin E) সমৃদ্ধ যে কোন তেল যেমন: নারকেল, অ্যালমন্ড, সরিষার তেল ইত্যাদি-হালকা গরম করে মাথায় মাসাজ করলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই মাসাজের পূর্ণ উপকার পেতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তেল দিয়ে মাথা মাসাজ করে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
    আল্লাহু আলাম
    ▬▬▬▬◈◍◈▬▬▬▬
    উত্তর প্রদানে:
    আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
    দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *