মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
আমাদের ত্বক নানা কারনে উজ্জলতা হারিয়ে থাকে। এই ধরুন এই করনা কালিন সময়ে ঘরে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন, তখন আপনার দিন কাটতো সারাদিন খাবার খেয়ে আর টিভি দেখে। এমনকি দেখা যেতো ঘন্টার পর ঘন্টা সিরিজ দেখে সময় চলে যেতো এবং কোনো ব্যায়াম তো দুড়ের কথা হাটা চলা করাও হয় নি।
এতে করে আপনার অনেক মেদ বেড়ে গেছে এবং পাশাপাশি মেদ বাড়ার কারনে আপনার ওজন ও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে।
যার ফলে আপনি আপনার গায়ের স্বাভাবিক রং হারিয়েছেন। মনে রাখবেন কম ঘুমালেও আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা হারাবেন।
এছাড়া বাহিরে রোদে বেশি ঘোড়া-ঘুড়ি করলেও আপনি আপনার ত্বকের উজ্জলতা হারাবেন।
সেই সঙ্গে বাতাসে দূষণের প্রভাব তো আছেই! তবে এই ক্ষেত্রে আপনি চাইলে বাজারে কিনতে পাওয়া ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
সবচেয়ে বেটার হয় যদি আপনি প্রাকৃতিক এবং ভেষজ উপাদান ব্যবহার করেন। কারন ক্যেমিক্যাল ব্যবহারে পার্শপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু প্রাকৃতিক অথবা ভেষজ উপাদান ব্যবহারে কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই।
তবে খেয়াল রাখবেন আপনার খাবারের তালিকায় যেন প্রতিদিন সুষম খাবার থাকে এবং খাদ্যতালিকায় যেন প্রোটিন-ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব না থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে।
এবং খাবার তালিকা থেকে অতিরিক্ত মসলা এবং তেল জাতীয় খাবারকে ত্যাগ করতে হবে।
রোদে যারা বেশি ঘুরাঘুরি করেন তারা অবশ্যই সান্সক্রিন লাগিয়ে নিবেন এবং যারা অফিসে কাচের পাশে বসেন তারাও কয়েকবার সান্সক্রিন লাগান।
পাশাপাশি দৈনিক অন্তত ১ ঘন্টা কার্ডিও করতে হবে। এমনকি অফিসেও নিজের চা বা জলখাবার নিজে নিয়ে আসুন, জলের বোতল ভরার জন্য সিট ছেড়ে উঠুন। পারলে কোনো জিমে অ্যাডমিশন নিন এবং অন্তত এক থেকে দের ঘন্টা বেয়াম করুন। কারডিও এবং বেয়ামের কারনে আপনার রক্ত চলাচল ভাল থাকবে ও মন ফুর ফুরা লাগবে।
এতে করে আপনার শরীর-মন ভালো থাকবে এবং পাশাপাশিা আপনার গায়ের রংয়ের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে।
আসুন জানি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় –
টমেটোঃ- লাইকোপিন বয়সের ছাপ আটকে রাখতে সাহায্য করে থাকে। আর এই লাইকোপিন টমেটোর ভিতর রয়েছে। তাছাড়া টমেটোর ভিতর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট ত্বকের উজ্জলতা বাড়িয়ে তোলে। খানিকটা ওটমিল মিশিয়ে প্রতি সপ্তাহে তিনবার ফেসপ্যাকে তিনবার টমেটো ব্যবহার করতে পারেন, এতে আপনার ত্বক ঝকঝকে পরিস্কার হয়ে উঠবে। প্রতি বার প্যাক লাগানোর ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন এবং কোনো ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে নিন।
চন্দনঃ সেই আদিম কাল থেকে এখন পর্যন্ত রুপচর্যার উপাদান হিসেবে চন্দনের ব্যবহার অপরিসীম। চন্দনের সঙ্গে সামান্য আমান্ড পাউডার এবং দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন, এতে ত্বকে একেবারে ঝলমলিয়ে উঠবে। তবে অনেকের আবার চন্দনে অ্যালার্জি থাকে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই একবার প্যাচ টেস্ট করে নিবেন।
পাতিলেবুর রস: প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে লেবুর রস অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু মনে রাখা ভাল, সরাসরি লেবুর রস ত্বকে লাগানো উচিৎ নয় । এতে আপনার ত্বক সেনসিটিভ হয়ে পড়বে এবং তীব্র জ্বালাপোড়ার সম্মূক্ষিন হতে পারেন। তাই সরাসরি লেবুর রস না ব্যবহার করাই উত্তম। এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার ফেস প্যাকের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করুন। বেসন বা আটা, ফুল ফ্যাট দুধ আর লেবুর রসের প্যাক সাধারণত সব ধরনের ত্বকেই ভালো কাজ করে। তবে লেবুর রস ব্যবহার করার পর অবশ্যই ভালো কোন ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে নিবেন। তা না হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।
হলুদ: কাচা হলুদ নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক সুস্থ থাকবে এবং ধীরে ধীরে আপনার ত্বককে করে তোলবে উজ্জল ও মসৃন।
শসাঃ ত্বকের যে কোনও জালা-পোড়া কমাতে শসার ব্যবহার বহুল প্রচলিত। তাছাড়া চোখের নিচে কাল দাগ মুছতেও শসার রসের কার্যকরিতা অনেকেরই জানা। চাইলে দৈনিক শসা ব্লেন্ড করে রস লাগাতে পারেন।
তাহলে তো জানলাম হাতের নাগালে কি কি প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে আপনারা আমাদের মুখের যত্ন নিতে পারি।
তবে এখানে অনেকেই আছে যাদের হাতে এতো সময় নেই যে, প্রতিদিন এভাবে এই জিনিস গুলো দিয়ে ফেইস প্যাক বানাবে।
এখানে আমি আপনাদের জন্য একটি সমাধান নিয়ে এসেছি।
কি তাই তো !! ওকে বলেই দিচ্ছি, পাইকারি ঘর আপনাকে দিচ্ছে স্পেসাল ফেইস প্যাক। যেখানে রয়েছে বহু সংখ্যক প্রাকৃতিক এবং ভেষজ উপাদানের সমষ্টি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই প্রডাক্টে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
সিক্রেট ফেসপ্যাক এর বিশেষত্বঃ
- স্কিন গ্লো করে
- সানবার্ন রিমুভ করে
- ডার্ক সার্কেল / চোখের নিচের কালচে দাগ রিমুভ করে
- ব্ল্যাক/হুয়াইটহেড বের করে আনে চোখের সামনে।
- ডীপক্লিন করে
- অনেকের স্কিন কারণ ছাড়াই মলিন হয়ে কালচে হয়ে আসে।এটি অসাধারনভাবে স্কিন উজ্জ্বল করতে পারে
- প্রথমবার ইউজের পরই বুঝতে পারা যায় এটা কতটা ভালো কাজ করে।৭ দিনের ভেতর রেসাল্ট পাওয়া যাবে ফুল নিয়ম মতো ইউজ করলে রেসাল্ট পাবেন না এমন কেও হবেন না।
- এই প্রতিটি কাজ করে পার্মানেন্টলি।ইউজ করা ছেড়ে দিলেও কোন প্রব্লেম হয় না আর আগের মতোও হয়ে আসে না।যতখানি ব্রাইট হয়েছেন তাই থাকবেন
বিদ্রঃছেলে মেয়ে সবাই ইউস করতে পারে এটি। সেনসিটিভ সহ যে কোনো ধরনের স্কিনে ব্যবহার করা যায়।
Marketing Partner- Foresight IT
3 Comments
[…] এখন আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন তাহলে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবো? প্রাকৃতিক ভাবে ছেলেদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুন। […]
[…] এখন আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন তাহলে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবো? প্রাকৃতিক ভাবে ছেলেদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুন। […]
[…] এখন আপনি জিজ্ঞেস করতে পারেন তাহলে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবো? প্রাকৃতিক ভাবে ছেলেদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুন। […]