নতুন চুল গজানোর উপায়

নতুন চুল গজানোর উপায়

চুল এটি এমন একটি জিনিস যেটা আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তবে চুল আল্লাহর দান, যেমন একবার আমরা মানুষ হয়ে যখন  জন্মেছি মৃত্যু আমদের নির্দিষ্ট।  ঠিক তেমন চুলের ও একটা মৃত্যু কাল রয়েছে।
গবেষনায় দেখা গিয়েছে আমাদের চুল প্রায় ১হাজার ১ শত ১০ দিনের মত বাচে।আপনি কি জানেন, আমাদের মাথায় প্রতিদিন প্রায় ৯০-১৫০ চুল গজায় আবার ঠিক তেমনি ৯০-১৫০ চুল আবার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আমরা দেখা যায় যে ৩০-৪০ টা চুল পড়লেই টেনশনে পরে যাই যে, হয় আমার মাথের চুল এবার হয়তো সবই উঠে যাবে।
এটাই চুল পরার প্রথম কারন।তবে হ্যা, অতিরিক্ত চুল পড়া ভয়ানক।তাহলে, নতুন চুল গজানোর উপায় কি !
তাহলে আসুন তার আগে আমাদের জানতে হবে,  আমাদের চুল কেন পরে !

চুল করা পড়ার আমাদের প্রধান কারন হচ্ছে হেয়ার স্টাইল করা।ছেলেদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যসে অনেকেই আছে চুলে জেল দেয়। হ্যা সব জেল যে এমনটাও নাহ জে জেলে প্যারাবিন থাকে সেই জেল ব্যবহার করলে ধিরে ধিরে চুল পাতলা হয়ে যাবে। এবং একটা সময়ে আপনার চুল সব উঠে যাবে। তাই জেল কেনার সময় এটা একটু খেয়াল রাখবেন । চুলে বসি আয়রন, কার্লিং, পার্লিং করলে চুল উঠে যায়।

একটা সময় ছিল যখন ছেলেদের ২৫-৩০ বছরের পর চুল পড়া শুরু করতো আর এখন ১৫-১৬ বছর থেকেই দেখা যায় অনেকের চুল পড়া শুরু হয়ে যায়। চুল পড়ার আর একটি কারন হচ্ছে বেশি বেশি ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার খাওয়া।ফাস্ট ফুড খেলেই যে ফ্যাট হয় এমনটাও নাহ কিন্তু। আসলে ফাস্ট ফুডের খাবারে অনেক ফ্যাট এবং সুগার থাকে ।
কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে আমাদের পরিশ্রমে। আগে একটা সময় সবাই মাঠে খেলাধুলা করার জন্য আগে আগে সবাই চলে আসতো শুধু এটা ভেবে যে, পরে আসলে মাঠে খেলার জায়গা পাবে নাহ। 
কিন্তু এখন মাঠ খালি পরে কিন্তু কাউকে মাঠে কাউকে পাওয়া যায় নাহ অথবা কাউকে খেলতে দেখা যায় নাহ।
সবাই মোবাইল-কম্পিউটারের গেম নিয়েই বাসায় পরে থাকে।
এছাড়াও আমাদের ঢাকার পানিতে অনেক ক্লোরিন রয়েছে, বেশি ক্লোরিনের জন্যও আমাদের চুল পরে থাকে।অনেক সময় দেখা যায়, আমরা বাসা চেঞ্জ করার সময় নতুন বাসায় উঠে বলি যে, এই বাসায় উঠে আমাদের মাথার প্রচুর চুল পড়ছে।

এর কারন কি আপনি জানেন ?
আসলে নতুন বাসার টেঙ্কিতে হয়তো প্রচুর পরিমান ক্লোরিন জমা হয়ে আছে। নয়তো তারা পানি প্রচুর ব্লিসি পাউডার ব্যবহার করে থাকে।যার করনে এই প্রবলেম আমাদের ফেইস করতে হয়।

মাথায় যদি কারও স্ক্রিন ডিজিজ টাইপের কিছু হয়ে থাকে যেমন বড়দের স্যভোরিক অ্যাক্সিমা, সুরায়াসিস এসব ডিজিজ হলে চুল পড়ে যায়।  একটা সময়ে আমরা ধারনা করতাম, অ্যান্টিজেনিকের কারনে মেয়েদের চুল পরেনা। কিন্তু বর্তমানে প্রায় ৫০% মেয়েদেরই চুল পরে যায়। 

গ্রামের মহিলারা দেখা যায় পুস্টির অভাবে ভোগে। আর শহরের মেয়েরা ডায়েট কন্ট্রোল করতে গিয়ে পুস্টির কথাই ভুলে যায়।এছাড়া ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিংস তো আছেই, এগুলো ভিতর প্রচুর ফ্যাড এবং কার্বো হাইড্রেড থাকে যার কারনে এটা আপনার চুল এবং শরীর দুইটার জন্যই ক্ষতিকর।চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার করলেও এই চুল পরে যায়।

  • সিক্রেট হেয়ারপ্যাক

    সিক্রেট হেয়ারপ্যাক

     সিক্রেট হেয়ারপ্যাক পরিমান : ২৫০গ্রাম। দেড় মাস ইউজ করা যায়। সপ্তাহে ২-৩ দিন ইউজ করতে…
    Add to cart 390.00৳ 

এর কারন কি আপনি জানেন ?শ্যাম্পুতে থাকে ক্ষার এবং চুল প্রটিন দিয়ে তৈরি। যখন বার বার চুলে ক্ষার  লাগানো হয় তখন প্রটিন নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে চুল ভেঙ্গে যায়।তাই সপ্তাহে মেক্সিমাম তিনবার শ্যাম্পু দিন। তবে দুইবার দেয়া ভাল। একেবারে যদি যদি চুলে শ্যাম্পু না করেন তাহলেও চুলে ময়লা হয়ে আপনার চুল পরার সৃষ্টি করবে। 

এতোক্ষুন তো কেন চুল পরে জানলাম এবার আসুন জানি, কিভাবে চুল পরা রোধ করা যায় এনং নতুন চুল গজানো যায়ঃচুলের জন্য ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ভিটামিনগুলো খুব দরকার এছাড়া ভিটামিন সি ও ডি খুব দরকার।অনেকের ধারনা ভিটামিন ই চুলের জন্য দরকার। কিন্তু চুলে ভিটামিন ই এর পরিমান খুবই কম।এক কালিন সময়ে মানুষ খেত কম, কিন্তু এখন খায় বেশি কিন্তু তাতে প্রটিন নাই বললেই চলে।

তাই আমাদের চুল পড়া রোধে প্রথমে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেড জাতীয় খাবার খাওয়া বর্জন করতে হবে।বেশি বেশি প্রটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।বাচ্চা জন্মের ৪ মাসের পর থেকে মায়ের মাথার চুল পরতে পারে থাকে এই ক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই।প্রেগনেন্সির সময়  হরমোনাল চেইঞ্জের কারনে চুল পরে থাকে।একটা সময় মানুষ তেলের খুব যত্ন করতো কিন্তু এখন কাল ছেলে-মেয়েরা চুলে তেল ব্যবহার করে নাহ বললেই চলে।

তেল চুলে প্রটেক্টর হিসেবে কাজ করে। রং যেমন দেয়ালে লাগালে দেয়ার সৌন্দার্য বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনি দেয়ালকে প্রটেক্টও করে।তেল ও ঠিক চুলে তেমনি কাজ করে  চুলকে প্রটেক্ট করে এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।দেখবেন কাজের বুয়া বা রিকশাওয়ালা মামার মাথার চুল কিন্তু অনেক ঘন থাকে।
এর কারন আপনার কি  মনে হয় ?কারন তাদের মাথায় কোনো টেনশন নেই। এবং তারা নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করে।এছাড়া আপনি যখন চুলে জেল অথাবা ক্রিম কিনবেন তখন ভাল করে দেখা নিবেন যেন তাতে প্যারাবিন না থাকে।

তাহলেই হবে, তবে বেটার হয় যদি এই ধরনের প্রডাক্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন।থাইরয়েডের কারণে রুগির চুল পড়ে। আবার থাইরয়েডের চিকিৎসার জন্য যে ঔষধ দেয়া হয় সেটার কারণেও চুল পড়ে।

মিনোক্সিডিল দিলে  প্রচুর চুল গজায়। কিন্তু একটা সময়ে ছেড়ে দিলে সেই চুল গুলো আস্তে আস্তে পড়ে যায় ।  

অনেকের ধারনে যে সব চুল পড়ে যাবে। এটা আসলে ভুল ধারনা যার চুল পড়ার রোগ তার চুল ধিরে ধিরে কমতেই  থাকবে।
মিনোক্সিডিল ব্যাবহারে মাথা চুলকাতে পারে কারন এটা কারন এটা ব্যবহারে চুল ড্রাই হয়ে  যায়। তবে নিয়মিত তেল লাগালে এই প্রবলেম এর সমাধান পেয়ে যাবেন। কারন ড্রাই ভাবটা আর থাকবে নাহ।

এছাড়া আপনি চাইলে এমন কোনো প্রাকৃতিক প্রডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন যেটা ব্যবহারে আপনার চুলের সৌন্দার্য ও বৃদ্ধি পাবে চুলকেও অনেক স্ট্রং বা শক্তিশালী করে তোলবে।

এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের  সিক্রেট হেয়ার প্যাক  ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এতে রয়েছে নানা প্রকার প্রাকৃতিক উপাদান + ভেষজের মিশ্রন।এর সাথে আপনি আমাদের সিক্রেট হেয়ার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

এতে রয়েছে, রেড সেন্ডেলউড, জাতামাংসি, কারি লেভেস, ফেনুগরিক, হিবিসকাস, শিকাকাই, জিভান্টাই, ব্লাকসিড অয়েল, সিসেইম অয়েল, কেস্টার অয়েল, আমান্ড অয়েল এবং আরো ৪২টি জিনিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *