মাজুফল এর ইংরেজি নাম হচ্ছে “ gallnut বা marking nut”। এটি মূলত একটি চাইনিজ ফল। গাছে হলেও এটি কিন্তু এটি আসলে ফল না। এটি সাধারণত এক ধরনের পতঙ্গের কারনে হয়ে থাকে। গাল নামের এক ধরনের পতঙ্গের লার্ভা দিয়েই তৈরি মাজুফল। সাধারনত এটি ওক গাছে হয়ে থাকে। মাজুফল বিশ্বের ৯৫% চায়না থেকে আসে। যার কারনে চাইনিজ মার্কেটে এটি বেশি পাওয়া যায়।
মাজুফল একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন ফল। এটি স্কিন , ব্রেস্ট টাইটেনিং ও ভ্যাজিনা টাইটেনিং এর জন্য অনেক আগে থেকে চায়নার ও কোরিয়ার মহিলারা ব্যবহার করে আসছে। ব্রেস্ট টাইটেনিং, ভ্যাজিনা টাইটেনিং, ব্রেস্ট টাইটেনিং আর ব্রন দূর করতে মাজুফলের চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। মাত্র কয়েক টা মাজুফল এই কাজ হয়ে যায়। আর ব্রন, ব্রনের গর্ত সহ সব কিছুই চলে যায়।
শুধু ব্রন এই নয় এন্টি এজিং থেকে শুরু করে ব্রেস্ট ক্যন্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে এই মাজুফলের। বিশ্বাস না হলে আপনারা গুগলে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন, বিশ্বের নামীদামী টাইটেনিং ক্রিমগুলো তৈরির মূল উপাদান হিসেবে এই মাজুফল ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক ভাবে মাজু ফলের ব্যবহার রয়েছে খুব । যদিও এটা বেশ দূর্লভ এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় না। কিন্ত এটি এমন এক যাদুকরী ফল যা ব্যবহার করলে আপনাকে ইনস্ট্যান্ট রেজাল্ট দিবে যা আপনি কল্পনা করতে পারবেন না।
প্রস্তুত করণ পদ্ধতিঃ
৭-৮ টা মাজুফল নিন এর পর পরিমাণ মত পানিতে অল্প আচে ভালো ভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে । এমন পরিমান পানিতে সিদ্ধ করতে হবে যেন কিছু পরিমাণ পানি অবশিষ্ট থাকে । এরপর সিদ্ধ হয়ে গেলে পান সহ নামিয়ে নিতে হবে। ভুলেও পানি ছেকে ফেলে দেয়া যাবে না। এরপর পানি সহ ব্লেন্ড করে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর পেস্ট টি ঠাণ্ডা হলে ব্যাবহার করতে পারবেন। এটি ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করতে পারবেন। সপ্তাহে ৩দিন এই পেস্টটি ব্যবহার করতে হবে।
এই পেস্ট যেভাবে ব্যবহার করবেন-
প্রস্তুত করা পেস্ট মুখে লাগাবেন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যবহার করতে হবে। এভাবে অল্প কিছু দিন ব্যবহার করলে ফলাফল পাবেন।
মাজুফল যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে
১) মাজুফল সাধারনত ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করা হয়। এই মাজুফল থেকে কালি তৈরি করা হয়। টেক্সটাইল বা লেদার শিল্পেও এর ব্যবহার রয়েছে ব্যাপক। ফেসবুকে অনেকেই বলছেন এটি ব্রেস্ট টাইটনিং ও ভ্যাজাইনা টাইটনিং- এর কাজ করে। তবে এখনও বাস্তবে এর কোন সত্যতা পাওয়া যায় নি। চীন, ইন্দোনেশিয়ায় এটি প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
২) এই মাজুফল ব্যবহার করার জন্য ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ভয়ঙ্কর পদ্ধতির উল্লেখ করছেন। যা আসলে ভয়াবহ এবং স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। যেমন কেউ বলছেন এই ফল গুঁড়ো করে বা পানিতে ভিজিয়ে বা সেদ্ধ করে রেখে, সেই পানিতে কটন বল ভিজিয়ে তা ভ্যাজাইনাতে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিতে। এভাবে পর পর সাত দিন যদি ব্যবহার করা হয় তবে ভ্যাজাইনা টাইট হয়ে যাবে!
৩) মাজুফলের পেস্ট বানিয়ে ভাঙ্গা যায়গায় লাগিয়ে রাখলে দ্রুত হাড় জোড়া লাগে এমন তথ্যও ইন্টারনেটে পাওয়া যায়।
মাজুফল এর উপকারিতাঃ
১) বয়সের ছাপ দুর করে। মাজুফল দিয়ে তৈরি পানি নিয়ে ৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে অল্পদিন ব্যবহারেরই স্কিন টানটান হয়ে যাবে এবং বয়সের ছাপ দ্রুত দূর করে দিবে।
২) অনেকের মুখে ছোট ছোট ছোত গর্ত থাকে,সেই গর্ত দূর করে মাজুফল।
৩) প্রথম ব্যবহারেই ফেইসের স্কীন মসৃণ করে এই মাজুফল।
৪) একইভাবে এই মাজুফল breast এ use করার ফলে অল্পদিনেই আপনার breast এর skin পুরোপুরি tight হয়ে যাবে।
৫) মাজুফল antibacterial agent. (ryzen 5 5600g) যার কারনে এটি ব্যাবহারে ব্রনের সমস্যা দূর হয়।
৬) মাজুফল দাঁত ব্যথা দূর করে এবং মুখের দূগন্ধ দূর করে।
৭) মাজুফলে রয়েছে গ্যালিক এসিড। যা আপনার রক্তের সুগার নিয়ন্তন করতে সাহায্য করবে।
৮) মাজুফলের পেস্ট হাড় ভাঙ্গা স্থানে লাগালে,গাড় ভাঙ্গা দ্রুত জোড়া লাগে।
৯) এন্টি এজিং থেকে শুরু করে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখে এই মাজুফলে।
১০) মাজুফল ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করা হয় এবং এটি থেকে কালি তৈরি করা হয়। টেক্সটাইল বা লেদার শিল্পেও এর ব্যবহার রয়েছে খুব। ইন্দোনেশিয়ায়, চীন এটি প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় ব্যাপক।