মাথার চুল ঘন করার উপায়
বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি প্রায় ৮০% মানুষ মাথার চুল ঘন করার উপায় নিয়ে টেনষনে আছে।
ছেলে হোক অথবা মেয়ে হোক চুল এমন একটা জিনিস যা আমাদের সুন্দর্যতা বৃদ্ধি করে।
একটা সময় ছিল যখন চুল পড়ার সমস্যা খুব কম ছিল।
কিন্তু বর্তমানে টিন এইজ থেকে শুরু করে যে কারো চুল পড়তে দেখা যায়।
তবে চুল পাতলার ব্যপারটা ভিন্ন, অনেকেি আছে তাদের চুল এতোটাি ঘন থাকে যে, তারা তাদের চুল পাতলা করতে চায়।
তবে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যাওটা খুবি বেদনাদায়ক। কারন তাদের চুল এতটাি পাতলা হয়ে যায় যে একটা সময় তাদের মাথায় আর চুল থাকে নাহ।
তাহলে এর সমাধান!
হ্যা, সমাধান দেয়ার আগে বলে নেি আজকে কন্টেন্টা তাদের জন্যেি লেখা যারা পাতলা চুল নিয়ে দুশ্চিন্তাতে আছে এবং তারা চুল ঘন করার উপায় জানতে চায়।
তাহলে আসুন শুরু করিঃ
তবে শুরু করার আগে জেনে নেই যে, কেন এমনটা হয়ঃ
এমনটা হতে পারে পুস্টিহীনতার অভাবে, জেনেটিক কারনে, হরমোনের ভারসম্যতা হারালে এছাড়া চুলের যত্ন না নিলে।
সমাধানঃ
প্রাক্রিতিক উপায়ে চুলের যত্ন করলে চুল পড়া বন্ধ করার পাশাপাশি নতুন করে চুল গজাবে এবং আপনার চুলকে ঘন করে তুলবে।
আমি এখন এমন কিছু জিনিসের নাম বলতে চলেছি যা আপনার হাতের নাগালেই আছে। যে কোন সময় চাইলে তা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
কি হতে পারে তা ভাবছেন !
যাক আর ভাবতে হবে নাহ আমি বলেই দিচ্ছিঃ
- ডিমঃ ডিমে আছে সালফার এবং প্রোটিন যা চুলকে গোরাকে মজবুত করে এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করার পাশাপাশি চুলকে করে তোলে ঝলমলে ও মসৃন।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
প্রথমে একটি বাটিতে একটি ডিম ভেঙে নিতে হবে, এবার এর সাথে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল যোগ করুন। এবার ভালভাবে মিক্স করে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। এবার শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ৩০-৪০ মিনিটের জন্য চুল ঢেকে রাখুন । তারপর চুলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করুন।
- মেহেদি পাতাঃ পাতলা চুল ঘন করা যায় মেহেদি পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে। কিভাবে সেটা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে দু’মুঠো তাজা মেহেদি পাতা অল্প পানি দিয়ে বেলেন্ড করে বা বেটে নিন। চাইলে এর সাথে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এবার এটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ভাল ভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। মাসে ১ বার ব্যবহার করাতে আপনার চুলের গোরায় পুস্টি পাবে যা চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
- অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীঃ সঠিক ভাবে ঘৃতকুমারীর ব্যবহার করার মাধ্যমে পাতলা চুল ঘন করা যায়। প্রথমে একটি অ্যালোভেরা পাতা থেকে চামচ চামচ দিয়ে এর জেলটি বের করে নিন। এরপর জেলটাকে ভালবাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার মাথার স্ক্যাপ্লে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। এভাবে প্রায় ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এখন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এভাবে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা স্ক্যাপ্লে মৃত কোষ মেরামত করে চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- আমলকীঃ প্রথমে একটেবিল চামচ আমলকী গুঁড়ার নিন এবার এর সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিক্স করে নিন। এবার এটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এবার শ্যাম্পু করে নিন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।এভাবে সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করতে পারেন। আমলকীতে আছে প্রচুর ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস যা চুলের স্বাস্থ্য সুন্দর রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়ায় কোলাজেন-এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। লেবুর রস চুলের খুস্কি দূর করে এবং আমলকীর গুঁড়ার সাথে যুক্ত হয়ে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
- মেথিঃ মেথি ব্যবহারেও পাতলা চুল ঘন করা যায় । কিভাবে সেটা ভাবছেন? দু’টেবিল চামচ মেথি পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভিজিয়ে রাখা মেথির দানা ছেঁকে নিন। এবার এর সাথে হাফ কাপ পরিষ্কার পানি যোগ করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার ৩০ মিনিট এর জন্য এই পেস্ট-টি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখু। এরপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন। মেথিকে শ্রেষ্ঠ উপকরণ বলা হয়ে থাকে, চুলের স্বাস্থ্য বজায় রেখে চুলের বৃদ্ধির জন্য । এটি খুস্কি তাড়ায় এবং চুল মজবুত করে।
এছাড়া আপনি চাইলে এমন কোনো প্রাকৃতিক প্রডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন যেটা ব্যবহারে আপনার চুলের সৌন্দার্য ও বৃদ্ধি পাবে চুলকেও অনেক স্ট্রং বা শক্তিশালী করে তোলবে।
এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের সিক্রেট হেয়ার প্যাক ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
এতে রয়েছে নানা প্রকার প্রাকৃতিক উপাদান + ভেষজের মিশ্রন।
এর সাথে আপনি আমাদের সিক্রেট হেয়ার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
এতে রয়েছে, রেড সেন্ডেলউড, জাতামাংসি, কারি লেভেস, ফেনুগরিক, হিবিসকাস, শিকাকাই, জিভান্টাই, ব্লাকসিড অয়েল, সিসেইম অয়েল, কেস্টার অয়েল, আমান্ড অয়েল এবং আরো ৪২টি জিনিস।