মুখের কালো দাগ দূর করার জাদুকরি উপায়

মুখের কালো দাগ দূর করতে করণীয়

অনেকসময়ই অনেকের মুখে কালো দাগ দেখা যায়। এগুলি ব্রণ কিংবা অন্যান্য কারণেও হতে পারে। ত্বকের দাগ এবং ব্রণ শুধু সৌন্দর্যই নষ্ট করে না, অনেকসময় আত্মবিশ্বাসও কমিয়ে দেয়। ত্বকের নানা সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাজারে অনেক দামী বিউটি প্রোডাক্ট পাওয়া যায়, কিন্তু অনেক সময় এগুলো ব্যবহারেও কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায় না। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এবং কখনও কখনও শরীরে পুষ্টির অভাবের কারণেও অনেকের মুখে কালো দেখা দিতে পারে।

ধুলো-ময়লা, প্রখর রোদ ও দূষণের কারণে মুখের ত্বকে দেখা দেয় পিগমেন্টেশন সমস্যা। এ ছাড়া ব্রণ বা অন্য কোনো রোগের কারণেও মুখের ত্বকে দাগ হতে পারে। আরও বেশ কিছু কারণেও মুখের ত্বকে দাগছোপ দেখা দেয়। দাগ আটকানোর কিছু উপায় থাকলেও সব সময় তা কাজ করে না।

সুতরাং বলা যায়, মুখের ত্বকে দাগছোপ সাধারণ সমস্যার মধ্যেই পড়ে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, এ দাগ যাতে মুখে বসে না যায়। অর্থাৎ স্থায়ী হয়ে না যায়। যদি প্রাথমিক অবস্থায় দাগের ধরন নির্ধারণ করা সম্ভব হয়, তবে তা দূর করা যাবে সহজেই। এর জন্য খুব বেশি কাঠখড় পোড়ানোরও প্রয়োজন নেই। রান্নাঘরে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ থেকেই মিলবে এর সমাধান।

মুখের কালো দাগ নিয়ে গবেষকরা কি বলছেন?

আমেরিকার সান দিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিনে’ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এখন থেকে ত্বকের ব্রণ, র‌্যাশ কিংবা লাল বা কালো দাগ দ্রুত সারানো যাবে নতুন এক উপায়ে। তাদের মতে, ত্বকের নানা ধরনের ক্ষত বা প্রদাহ সারিয়ে তুলতে বড় ভূমিকা নেয় ত্বকের কোষ (ফাইব্রোব্লাস্টস)।

ব্রণ তৈরি করার ব্যাকটেরিয়া ফাইব্রোব্লাস্টসের সেই কোষগুলোর সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। ফলে প্রদাহ বেড়ে যায়। আর তখনই দেখা দেয় ব্রণ, র‌্যাশ অথবা ত্বকের লালচে বা কালচে দাগ। গবেষণা জানিয়েছে, ফাইব্রোব্লাস্টসের কোষগুলো চর্বি কোষ তৈরি করার সময়ই ক্যাথেলিসিডিন নামক এক ধরনের পেপটাইড (প্রোটিন) এর নিঃসরণ খুব বেড়ে যায়। এই ক্যাথেলিসিডিন কিন্তু ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দ্রুত ধ্বংস করতে পারে।

 

ত্বকের কালো দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপাদান

  • লেবুর রসঃ কালো দাগ দূর করার শক্তিশালী উপায় হল ত্বকে লেবুর রস প্রয়োগ করা। কারণ এটি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে ভরপুর। যা ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। পিগমেন্টেশন হ্রাস করতে সহায়তা করে। তবে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে লেবুর রস এড়ানো ভাল। কারণ এটি অনেক সময় ত্বকে জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে। ভাল ফলাফলের জন্য লেবুর রসের সাথে মধু এবং টমেটোর রস মিশিয়ে মাস্ক হিসেবে প্রয়োগ করুন। কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
  • হলুদঃ প্রাচীনকাল ধরে, হলুদ পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করছে। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য দুধ বা মধুর সাথে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপরে কালো দাগের উপর প্রয়োগ করুন। ধুয়ে ফেলার আগে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। হলুদ মেলানিন উৎপাদনকে বাধা দেয়। যা হাইপারপিগমেন্টেশনের জন্য দায়ী।
  • টমেটোঃ টমেটো ভিটামিন সি এবং লাইকোপিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে সহায়তা করে। টমেটোর রসে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান রয়েছে। যা কালো দাগ কমাতে সহায়তা করে। টমেটো টুকরো করে সরাসরি আক্রান্ত স্থানে ঘষুন। ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য টমেটোর পাল্প, ময়দা এবং লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।
  • চালের পানিঃ কিছু চাল ধুয়ে নিন। এরপর এই ধোয়া চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সেই পানি একটি কাচের পাত্রে ২-৩ দিনের জন্য রেখে দিন। তারপর নিয়মিত এটি ব্যবহার করুন। চালের পানি কালো দাগ, ত্বকের ট্যানিং এবং পিগমেন্টেশন হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে। গবেষণা অনুসারে, এই পানিতে থাকা খনিজগুলো ত্বকের কোষের টাইরোসিনেজ ক্রিয়াকলাপকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যা ত্বকের বিবর্ণতার জন্য দায়ী। যার ফলে ত্বকে মেলানিন উৎপাদন ভারসাম্য বজায় থাকে।
  • অ্যালোভেরা জেলঃ হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করার একটি সহজ প্রতিকার হল অ্যালোভেরা প্রয়োগ করা। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে অ্যালোইন নামক একটি উপাদান থাকে। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল সারা রাত লাগিয়ে রাখুন। সকালে ধুয়ে ফেলুন।
  • প্রদাহ: যখন একজন ব্যক্তি ত্বকের প্রদাহ অনুভব করেন তখন গাঢ় দাগ দেখা দিতে পারে। একজিমা, সোরিয়াসিস, ত্বকের ক্ষতি এবং ব্রণ হল কয়েকটি শর্ত যা প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে
  • হরমোনের পরিবর্তন: মহিলারা, বিশেষ করে, তাদের শরীরে অনেক হরমোনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, তা সেগুলি বার্ধক্য, গর্ভাবস্থার মতো অবস্থা বা এমনকি রজোবন্ধ. এই পরিবর্তনগুলির ফলে মুখে কালো দাগ এবং পিগমেন্টেশন হতে পারে। হরমোন পরিবর্তনের মাধ্যমে আনা আরেকটি সাধারণ রোগ হল মেলাসমা, যা ত্বকে বাদামী দাগ হিসাবে প্রকাশ পায়।
  • ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধ ত্বককে আরও রঙ্গক করে তুলতে পারে, যার ফলে কালো দাগ পড়ে। নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ (NSAIDs), টেট্রাসাইক্লাইনস এবং মানসিক ওষুধ প্রধান অবদানকারী।
  • শশাঃ দাগ দূর করতে শশার ব্যবহার অনেক কার্যকরী। শশার পেস্টের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ফেস প্যাক হিসেবে মুখে ব্যবহার করতে পারেন । আবার চোখের উপরের অংশ লাগিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখলেও ক্লান্তি দূর হতে সাহায্য করে ।

প্রাকৃতিক উপায়গুলো কার্যকরী হলে ব্যাস্ততার জন্য ত্বকের যত্ন সঠিকভাবে নেওয়া হয়ে ওঠে না। এজন্য প্রাকৃতিক নিযার্স দিয়ে তৈরি সম্পূর্ণ হালাল এবং কার্যকরী উপায়ে মুখের কালো দাগ দূর করতে এখুনি ব্যবহার করুন সিক্রেট ফেসপ্যাক

  • PKG Secret Lip balm

    Best Lip Balm For Lips In BD লিপবাম এক ধরনের তৈলাক্ত মলম যা আমাদের ঠোঁটকে সুরক্ষা…
    Add to cart 550.00৳