ব্রণ কি?
সেবাসিয়াস গ্রন্থি সেবাম নামে একপ্রকার তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে যা ত্বককে মসৃণ রাখে। কোনো কারণে সেবাসিয়াস গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণের বাধার সৃষ্টি হয় এবং তা ভেতরে জমে ফুলে উঠে যা ব্রণ (acne) নামে পরিচিত। ত্বকের শত্রু হলো ব্রণ। এই শত্রু আপনার ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য একাই একশো! প্রথমে ছোট একটি দানার মতো জন্ম নিয়ে এরপর বড় হয়, সেখানে জমতে পারে পুঁজও। একে ইংরেজিতে বলে অ্যাকনে বা পিম্পল, বাংলা বলা হয় ব্রণ। ব্রণ হলে তা আপনার সৌন্দর্য কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নষ্ট করে আত্মবিশ্বাসও।
সাধারণত ব্রণ কোথায় হয়?
- কপালঃ অনেকের শুধু কপালের অংশে ব্রণ হয়। মূলত হজমে অসুবিধা ও দুশ্চিন্তার কারণে অনেক সময় কপালে ব্রণ ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে ত্বক থেকে টক্সিন বের করতে ও হজম প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ও কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে। বিশেষ করে রাতে ৭ ঘণ্টার বিরতিহীন ঘুমের চেষ্টা করুন। এ ছাড়া আপনার প্রতিদিনের তালিকায় সুষম খাদ্য যুক্ত করুন। এতে করে ব্রণের সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওেয়া যাবে। কপালে ব্রণের পরিমাণ বেশি হলে অবশ্যই সে স্থানকে চুল ও টুপির সংস্পর্শ থেকে বাঁচাতে হবে।
- গালঃ ব্রণের সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রের কি কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে? জানা যায়, আমাদের গালের ওপরের অংশে যে ব্রণ ওঠে তার সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রের ক্রিয়ার সম্পর্ক থাকে। আপনার আশেপাশের বায়ু দীর্ঘ সময়জুড়ে অস্বাস্থ্যকর থাকলে তা আপনার চেহারাতেও প্রভাব ফেলবে।
- টি-জোন/নাকঃ আপনার ভ্রু থেকে নাক ও চিবুক পর্যন্ত যে অঞ্চল তাকে টি-জোন বলা হয়। সাধারণত টি-জোনে ওয়েল-গ্লান্ডের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। তাই এখানে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইমব্যালেন্স বা খাদ্য অ্যালার্জেন থাকার কারণে টি-জোনে বা নাকের উপরিভাগে ব্রণ হয় প্রায়ই। এ ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ ও যকৃতের সমস্যাও এর সঙ্গে জড়িত। এরকম হলে দুধ জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড এবং লাল মাংস এড়িয়ে চলতে হবে।
- চিবুকঃ চিবুকের ব্রণ হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণে হয়ে থাকে। হরমোনের সমস্যা থেকে আরাম পেতে চাইলে পুদিনা পাতার চা কিংবা ওমেগা-৩ সম্পন্ন খাবার খেতে পারেন। এ ছাড়াও ব্রণের স্থানে হাত বা ত্বকের সংস্পর্শ যত কম করা যায় তত ভালো। কেননা ত্বকের ব্যাক্টেরিয়া ও ঘামের সংস্পর্শে এলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে।
- পিঠ ও বাহুঃ পিঠে, বাহুতে এবং উরুতে ব্রণ ওঠার মূল কারণ হিসেবে হরমোনের তারতম্য এবং জেনেটিক্সকে দায়ী করা হয়। তাই এখানে ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। ব্রণযুক্ত ত্বকে ঘাম হলে বা খসখসে ফেব্রিকের কাপড় পরলে ব্রণের জালা আরো বাড়তে পারে। যা ব্রণের ব্রেকআউটকে বাড়িয়ে তুলবে। এমন পরিস্থিতিতে ঢিলেঢালা ও পরিষ্কার পোশাক পরতে হবে।
ব্রণ হওয়ার কারণসমূহ
- জিনগতঃ বাবা অথবা মা যে কারও কৈশরে ব্রণের সমস্যা থাকলে সন্তানেরও ব্রণ দেখা দিতে পারে।
- হরমোন জনিত সমস্যাঃ বয়ঃসন্ধি পর্যায়ে শরীরে আন্ড্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শরীরে সিবামের মাত্রা বাড়ে এবং মুখ, পিঠ, বুক ইত্যাদিতে ব্রণ দেখা দেয়।
- জীবনযাত্রার পরিবর্তনঃ ধূমপান, অ্যালকোহল গ্রহণ এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদি ব্রণ সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
- মানসিক চাপঃ ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে মানসিক চাপ।প্রসাধনী: তৈলাক্ত প্রসাধনীর ব্যবহারে ত্বকে ব্রণ হতে পারে।
ব্রণ হলে যে ভূলগুলো করা যাবে না
- ব্রণ গেলে দেওয়াঃ এই অভ্যাস আমাদের বেশিরভাগেরই আছে। মুখে ব্রণ দেখা গেলেই তা গেলে না দেওয়া পর্যন্ত যেন স্বস্তি পাওয়া যায় না! এই স্বভাবের কারণে আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। এটি ব্রণের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে তোলে। সেইসঙ্গে নখ দিয়ে খোঁটাখুঁটির কারণে হতে পারে ইনফেকশন। তাই ব্রণ হলে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সময় দিতে হবে।
- ব্রণ খোঁটাখুঁটিঃ ব্রণ খোঁটাখুঁটি করার বদ অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন। অনেকেই ব্রণ হলে তা খুঁটতে থাকেন। ব্রণ গেলে দেওয়ার মতো এটিও ক্ষতিকর অভ্যাস। বিশেষজ্ঞরা এই কাজ করতে একেবারেই নিষেধ করেন। ব্রণ হলেও তা খোঁটাখুঁটি করা চলবে না। এই অভ্যাস সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। তাতে ক্ষতি ছাড়া কোনো উপকার হবে না।
- বারবার মুখ পরিষ্কার করাঃ অনেকে মনে করেন, বারবার মুখ পরিষ্কার করলেই বুঝি ত্বক বেশি ভালো থাকে! এটি আসলে ঠিক নয়। কারণ বারবার মুখ ধোওয়ার কারণে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়। শুধু পানি দিয়ে পরিষ্কার করলে ত্বক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু বেশিরভাগই সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে বারবার মুখ পরিষ্কার করে থাকেন। এটি ব্রণের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
- সঠিক ফেসওয়াশ নির্বাচনঃ অনেকে ত্বক ভালো রাখতে ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন। কিন্তু সেটি আসলেই ত্বকের জন্য উপযুক্ত কি না তা জানেন না। মুখ পরিষ্কার রাখতে আপনি যে ফেসওয়াশ ব্যবহার করছেন, সেটি আপনার ত্বকের জন্য মানানসই কি না তা জেনে নিন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। এতে ব্রণের সমস্যা কমবে।
ব্রণ থেকে রক্ষা পেতে করণীয়
- খাদ্যাভ্যাসঃ ব্রণ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। ব্রণ কমাতে চাইলে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। পাতাবহুল সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে এবং কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের মাত্রা কমাতে হবে।
- পর্যাপ্ত পানি পানঃ পানি পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে। দৈনিক তিন লিটার পানি পান শরীরে সারা বছর নানা রকম অসুখ থেকে রক্ষা করে।
- রাসায়নিক প্রসাধনীঃ তৈলাক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিটা পণ্যে ‘নন-কমেডোজেনিক’ লেখা আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। এটা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
- পর্যাপ্ত ঘুমঃ চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর। কারও কারও এর বেশি সময়ও ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে। ঘুমের এ সময় নির্ধারিত হবে বয়স ও শারীরিক কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে। তবে সাধারণত ৬ ঘণ্টার কম এবং ৮ ঘণ্টার বেশি না ঘুমানোই ভালো। নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যেতে হবে এবং একই সময় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। এতে প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণ ও তৈরি হয়ে শরীরের কাজগুলো ঠিকমতো ঘটতে থাকবে এবং ব্রণ হবে না।
- রোদ থেকে দূরে থাকুনঃ রোদ ত্বকের প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়। বাইরে গেলে সবসময় রোদের ক্রিম ব্যবহার করুন।
- খাদ্যাভ্যাসঃ ফার্স্ট ফুড, ডিপফ্রাই করা খাবার, কোমল পানীয় বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে নিয়মিত। ফলমূল ও আঁশজাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।
- চুল পরিষ্কার রাখতে হবেঃ অনেকেই মনে করেন, চুল পরিষ্কার করার সাথে ব্রণের সম্পর্ক কী? ব্রণের সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে তাই চুল ও মাথা পরিষ্কার রাখা জরুরি।
- মেক আপে সতর্কতাঃ ফাউন্ডেশন ও পাউডার ব্যবহার না করাই ভালো। মেকআপ নিলে বাসায় ফিরে দ্রুত পরিষ্কা করতে হবে।
- ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবেঃ আপনি যদি ব্রণের চিকিৎসার মধ্যে থাকেন তবে অনেক ক্ষেত্রেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ
ব্রণ থেকে মুক্তির সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে সচেতনতা। যাহোক আমি আপনাদেরকে ব্রণ নিরাময়ে কিছু ভেষজ পদ্ধতি পরামর্শ দেব। যা আপনারা ঘরে বসেই করতে পারবেন।
- ত্রিফলাঃ ব্রণ তাড়ানোর জন্য একটি কার্যকরী উপাদান হলো ত্রিফলা। এটি শুধু ব্রণের জন্য নয়, শরীরের আরো নানা সমস্যার সমাধান দেয়। পেটের সমস্যা, হজমের সমস্যার জন্য এটি খুবই উপকারি। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো রিস্ক নিয়ে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার না করে যদি ন্যাচারাল কিছু আপনার কাজে আসে তাহলে কেন আপনি ত্রিফলা ব্যবহার করবেন না? আর যদি সেই ন্যাচারাল কিছু খুব সহজেই পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। ত্রিফলা বাজারে শুষ্ক ফলের মত অবস্থায় পাওয়া যায়। অনেক কম্পানি এটি কে নানা ভাবে প্রক্রিয়াজাত করেও বিক্রি করে। তবে সবচেয়ে নিরাপদ হবে যদি আপনি শুষ্ক ফল এর মত অবস্থায় ত্রিফলা ব্যবহার করেন। ত্রিফলা হল ৩ টি ফলের মিশ্রন। এতে থাকে আমলকি,হরিতকি,বিভিতকি। যেভাবে আপনি এটি ব্যবহার করবেন সেটি হল আপনাকে ত্রিফলার মিশ্রণের একটি অংশ(যাতে অন্তত ১ টি হরিতকি,১ টি বিভিতকি ও ২ টি আমলকি থাকে) গুড়া করে রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং সকালে খালি পেটে রস টি ছেকে খেয়ে নিতে হবে।খাওয়ার পর অন্তত ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে নাস্তা করার জন্য।
এভাবে যদি আপনি টানা ৩ মাস প্রতিদিন খেতে পারেন তাহলে দেখবেন ব্রণ আর আপনার দিকে ফিরেও তাকাবে না। - মধুঃ ব্রণের সমস্যা এত বিচ্ছিরি একটা ব্যাপার যে তা যেন আপনার সমস্ত সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয়। নারী হন বা পুরুষ, মুখে ব্রণ কারো ক্ষেত্রেই ভালো লাগে না দেখতে। নানান রকম চিকিৎসা করিয়ে যারা হতাশ হয়ে পড়েছেন, তাঁদের জন্য রইলো ব্রণের আরেকটি ঘরোয়া চিকিৎসা। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ ওঠা শূন্যের কোটায় চলে যাবে, আবার চট জলদি ব্রণ কমাতেও এর জুড়ি নেই। ত্বকের জন্য সর্বদা প্রাকৃতিক চিকিৎসাই সবচাইতে উপকারী!
বিশুদ্ধ মধু সংগ্রহ করুন প্রথমেই। মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। ব্রণের প্রকোপ কমাতে ও দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন খুব হাল্কা ফেসওয়াশ দিয়ে। তারপর ভালো করে মুখ ধুয়ে আলতো করে মুছে নিন। এবার আঙ্গুলের ডগায় মধু নিয়ে ভেজা ত্বকেই লাগান। অল্প একটু ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রাখুন। তারপর পানি দিয়ে খুব ভালো করে ধুয়ে নিন। অন্তত ২ ঘণ্টা মুখে কোন প্রসাধনলাগাবেন না। - জলপাই তেল ম্যাসাজঃ আপনার ত্বক তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক যাই হোক না কেনো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে জলপাই তেল দিয়ে পরিষ্কার করলে ত্বক মসৃণ হয় এবং ধীরে ধীরে ব্রণের উপদ্রব কমে যায়। প্রথমে হাতের তালুতে জলপাই তেল নিয়ে দুই হাতে ঘষে তেল কিছুটা গরম করে নিন। এবার এই তেলটা পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন নিচের থেকে উপরের দিকে। এভাবে প্রায় ২ মিনিট ধরে মুখ ম্যাসাজ করুন। এভাবে ম্যাসাজ করলে ত্বক থেকে মেকআপ এবং ময়লা উঠে আসবে ভালো করে। এরপর কুসুম গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে মুখের অতিরিক্ত তেল মুছে নিন ভালো করে। এভাবে প্রতিদিন রাতে মুখ পরিষ্কার করে নিলে ব্রণ ওঠা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
- গোলাপ জলের টোনারঃ প্রতিদিন মুখ ভালো করে ধুয়ে নেয়ার পরে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করার জন্য টোনার ব্যবহার করা জরুরী। কারণ লোমকূপ খোলা থাকলে ময়লা ঢুকে ব্রণের উপদ্রব বৃদ্ধি করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোলাপ জল বেশ কার্যকারী টোনার হিসেবে কাজ করে। পানিতে গোলাপ জল মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে বরফ বানিয়ে নিন। সকালে বাইরে যাওয়ার আগে অথবা বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পর এই বরফ দিয়ে পুরো মুখ ঘষে নিন। ত্বক দীর্ঘ সময় ধরে তেল মুক্ত থাকবে এবং লোমকূপগুলো বন্ধ হবে। বরফ হিসেবে ব্যবহার করতে না চাইলে তুলায় গোলাপ জল লাগিয়ে মুখটা মুছে নিলেও টোনারের কাজ হবে।
- স্ক্র্যাবার হিসেবে বেকিং সোডাঃ আমাদের ত্বকে মরা চামড়া ও ব্ল্যাক হেডস জমে। এগুলোর জন্য ব্রণ হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়। তাই ত্বককে মাঝে মাঝে স্ক্র্যাবিং করতে হয়। এক্ষেত্রে বেকিং সোডা বেশ ভালো স্ক্র্যাবার।
প্রথমে বেকিং সোডা ও সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি সারা মুখে, ঘাড়ে ও গলায় ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এক মিনিট ম্যাসাজ করার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্রণের উপদ্রব কমে যাবে, ব্রণের দাগ কমবে এবং ব্ল্যাক হেডস দূর হবে।
টিপস
১. মাসে এক বা দুবার বিউটি স্যালনে গিয়ে ফেসিয়াল করিয়ে নেওয়া যায়। এতে ত্বক পরিষ্কার থাকবে।
২. প্রতিদিন রাতে চিরতা ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে সেই পানি পান করলে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
৩. এক চামচ অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর সঙ্গে চার-পাঁচটি করে তুলসী ও নিমপাতা পেস্ট করে নিয়মিত খেলে ব্রণের সমস্যায় উপকার পাওয়া যেতে পারে।